খুলনায় বাজার গরম

ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েকদিন ধরে খুলনার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হ‌চ্ছে সব ধরণের সবজি। ৪০ টাকার নীচে কোন সবজিতে হাত দেওয়া যায় না। তেলের বাজারে কোন সুখবর নেই। চিনির বাজার মূল্যও উর্ধ্বমুখী। সব মিলিয়ে বাজার বেশ গরম।

খুলনা নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, শীতকালীন সবজি ফুলকপি একশ’ টাকা ও সীম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনুরূপভাবে মুলা ৪৫ টাকা, পালং শাক ৩৫ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হয়। সে সময়ে প্রতিলিটার তেলের দাম ৮০ টাকা ছিল। বর্তমানে তা প্রতি লিটার বোতল ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর খোলা (লুজ তেল ) ১৫৫ ‌থে‌কে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ঘাটতির অজুহাতে ৪০ টাকার চিনি এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট চিনি ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডের মুদি দোকানী মো: শহীদুল ইসলাম জানান, গত ১৫ দিন ধরে ভোজ্য তেল ১শ’ ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আবারও তেলের দাম বাড়বে বলে তেল বিপনন কোম্পানীর লোক জানিয়েছেন। খুচরা তেল একই দামে বিক্রি করছেন।

নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা মো: আতিক জানান, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে শীতকালীন সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। আগে পণ্য পরিবহন করতে যেখানে এক টাকা করে লাগত। এখন সেখানে বাড়‌তি টাকা গুন‌তে হচ্ছে। তাছাড়া শীত আসার আগে যে বৃষ্টি হয়েছিল তখন ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এখন যে সবজি পাওয়া যাচ্ছে তা পরে লাগানো। বাজারে তেমন সবজির আমদানিও কম। আমদা‌নি বাড়‌লে দাম পড়তে পারে।

ওই বাজরের আরেক ব্যবসায়ী মোস: জামেলা খাতুন জানান, মূলত: ঢাকার চাহিদার ওপরে আমাদের খুলনার বাজার দর নির্ভর করে। ঢাকায় যদি মালের চাহিদা বেশী থাকে তাহলে এখানে বাজর দর চড়া হয়। শুক্রবার বাজারের প্রতিটি জিনিষের দাম বেশী থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা সেলিম আল আজাদ জানান, বাজারে সবকিছুর দাম একটু বেশী। এ সময় শীতকালীন সবজির বাজার কম থাকে। এ বছর দেখছি ভিন্ন। ৪০ টাকার নীচে কোন জিনিষে হাত দেওয়া যা‌চ্ছে না। ফুলকপির বাজার তো আরও বেশী। বাজার দর বেশী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin
Usbdjournal Messenger
English