অব্যাহতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন

আশরাফুল আলম খোন। ছবি: সংগৃহীত।

জার্নাল ডেস্ক : সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। রবিবার পদ থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র দিয়েছেন জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আশরাফুল আলম খোকন লিখেছেন, ‘যাত্রাটা শুরু হয়েছিল ১৮ আগস্ট ২০১৩। বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদের মাত্র ৫ মাস বাকি তখন। যুক্তরাষ্ট্রের আয়েশি জীবন ছেড়ে অনিশ্চয়তার পথে এসে হেঁটেছিলাম। কারণ তখন সবেমাত্র আওয়ামী লীগ ৫টা সিটি করপোরেশনে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে হেরেছে। হেফাজত, বিএনপি, জামাতের বাঁশেরকেল্লা বাহিনীর অপপ্রচারে ত্রাহি অবস্থা। ওই সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সুযোগ দিয়েছেন তার উপ-প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করার। সরকারের কাজের প্রচার-প্রচারণা, গুজব প্রতিরোধ ও মিডিয়া সেক্টর নিয়ে কাজ করেছি। তবে তখনো সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের সুনাম ছিল। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তি ইমেজ ছিল এখনকার মতোই প্রতিদ্বন্দ্বীহীন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘ছোট সময় থেকে এই দলটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে এই দায়িত্ব ছিল আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি ও সম্মানের। একে তো দেশের প্রধানমন্ত্রী আবার তিনি যদি হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। পরপর তিন তিনবার নিয়োগ পাবার মত ভাগ্যবান একজন আমি। ১৭ কোটি মানুষের দেশে এই সৌভাগ্য কয়জনের হয়। আমি সেই ভাগ্যবানদের একজন। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। আমৃত্যু এই ঋণ শোধ হবে না। জীবনে যখন যেখানে যেভাবে থাকবো, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দল ও নেত্রীর জন্য কাজ করে যাব।’
স্ট্যাটাসে খোকন আরও লেখেন, ‘সুখবর হচ্ছে, আমি সাংবাদিকতার ওপর আরও পড়াশোনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হফস্ট্রা ইউনিভার্সিটিতে একটি স্কলারশিপ পেয়েছি। গত সেপ্টেম্বরেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়। সুযোগটি আমি হাতছাড়া করতে চাইনি। কারণ আমি মিডিয়াতে কাজ করা মানুষ। এই সেক্টরেই কাজ করে যেতে চাই। আর উচ্চশিক্ষার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতা সবাই জানেন। তাদের পরিবারের সকলকেই তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাকেও তিনি সেই সুযোগটি দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা নেত্রীর প্রতি।’ তিনি লেখেন, ‘আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, আমি আমার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদনপত্র দিয়েছি। কারণ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে শিক্ষাছুটির কোনো বিধান নাই। খারাপ সময়ে যোগদান করে ভালো সময়ে এসে সাড়ে সাত বছরের জার্নি আপাতত শেষ করতে যাচ্ছি। হয়তো আবার দেখা হবে। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে যাদের সহযোগিতা পেয়েছি, তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যক্তিগত অনুবিভাগ, দলের নেতাকর্মী এবং সর্বোপরি দেশের সকল মিডিয়ার আলোকিত মানুষেরা। যাদের সহযোগিতা পাইনি, ক্রমাগত বিরোধিতা ও প্রতিবন্ধকতা পেয়েছি তাদের প্রতিও অনেক কৃতজ্ঞতা। কারণ তাদের কারণে আমি এই বয়সেই অনেক কিছু শিখেছি যা বাকি জীবন পথ চলতে অনেক সহায়ক হবে। সবাই ভালো থাকবেন। জয়বাংলা…।’

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin