সবার নজর কক্সবাজার আদালতে

ছবি: সংগৃহীত

ঘটনার ১৮ মাসের মাথায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে আজ সোমবার। মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে শেষ হয়েছে মামলাটির বিচারিক কাজ। এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই কক্সবাজার আদালত চত্বরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশবাসীর নজরও তাই কক্সবাজারে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টির ৩৮ বছরের ইতিহাসে প্রথম এত দ্রুত কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে। এর আগে হত্যা কিংবা ফৌজদারি কোনো মামলায় এত বিপুলসংখ্যক সাক্ষী নেওয়ার নজির নেই। একই ভাবে নজির নেই এত স্বল্প সময়ে চার্জগঠন, শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের। সবকিছু যেন অবিশ্বাস্য গতিতেই এগিয়েছে। তাই সবার দৃষ্টি এখন এই রায়ের দিকেই।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সিনহা হত্যা মামলার রায়কে ঘিরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে পুলিশের সর্বোচ্চ নজর রয়েছে। আদালতে নিরাপত্তার স্বার্থে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ থাকবে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।

এদিকে, মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস আশা করেন, প্রধান দুই আসামি প্রদীপ-লিয়াকতের সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। এর মাধ্যমে বিচারবহিভূ‌র্ত হত্যাকাণ্ডও বন্ধ হবে বলে আশা করেন তিনি। তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, অপরাধ করলে কেউ যেন আইন ও সাজার হাত থেকে রেহাই না পায়— এ রায়ের মাধ্যমে সেটিই প্রতিষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করেন। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টির ৩৮ বছরের ইতিহাসে এ প্রথম এত দ্রুত কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে। এ মামলায় ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। 

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin