কানাডা আমেরিকার সম্পর্ক শীতল হচ্ছে: পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকায় নতুন সরকার আসার পর দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা অবনতির দিকে যাচ্ছে। যযিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম সৌজন্যমুলক ফোন করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকেই। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই কানাডার সাথে কি-স্টোন পাইপলাইন নির্মাণ বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই করেন। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি দু’দেশের বন্ধুত্ব সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে। বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তের জের ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপের দাবি তুলেছেন ক্ষুব্ধ কানাডিয়ানরা।

এদিকে বিরোধী দলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপে পড়েছে জাস্টিন সরকার। এ সপমর্কে জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কানাডার ওপর কঠিন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এমন একতরফা সিদ্ধান্তে হাজারো মানুষ চাকরি হারাবেন। তবে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর।

নতুন মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে কানাডা। এতে সম্পর্ক ফাটল দেখা দেয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে প্রতিবেশি দেশ দু’টির মধ্যে। প্রথম দিন টেলিফোনে আলাপকালে জাস্টিন কানাডার ক্ষোভের কথা আকারে-ইঙ্গিতে জানিয়ে দেন বাইডনকে।

কানাডার আলবার্টা তেলক্ষেত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিবহনে পাইপলাইন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয় ২০০৮ সালে। আলবার্টা থেকে মন্টানা, সাউথ ডাকোটা, নেব্রাস্কা, কানসাস আর ওকলাহোমা হয়ে ১৭শ মাইল পাইপলাইন দিয়ে টেক্সাসের পরিশোধনাগারে তেল সরবরাহের কথা ছিলো।

পরিবেশ ঝুঁকির কথা বিবেচনায়, ওবামা সরকার ক্ষমতায় এসেই এ পাইপলাইন নির্মাণকাজ বাতিল করেন। অবশ্য, ২০১৯-এ ফের এটির অনুমোদন দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কানাডায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রুস হেইম্যান বলেন, বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আগেও কানাডার বিশ্বাসে আঘাত দিয়েছেন ট্রাম্প। বাইডেনও ফের আঘাত দিলেন। নতুন প্রেসিডেন্ট কীভাবে বিষয়টি সামাল দেবেন, তারওপর নির্ভর করছে দুদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত। ট্রাম্প আমলে দুইশো কিলোমিটার পাইপ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। অবশ্য, বাইডেনের সিদ্ধান্তের পর, বন্ধ নির্মাণ কাজ।

এদিকে কোভিড-১৯’এর কারণে এক বছর ধরে দু’দেশের সীমান্ত বন্ধ। এ বিষয়টিও ভালো ভাবে নিচ্ছেনা আমেরিকা!

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin