তিব্বত নিয়ে নতুন আইন পাশ আমেরিকায়

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ফের চীনকে বড়সড় ধাক্কা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েকদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নীতি সহায়ক বিল পাশ করেছিল। সেই বিলে স্বাক্ষর করে তা আইনে পরিণত করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট

এই আইনে বলা হয়েছে, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচন করতে চীন বা অন্য কোনও দেশের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই তিব্বতিদের। নিজেদের পছন্দ মতো ধর্মগুরু বেছে নিতে পারবেন তাঁরা। কমিউনিস্ট আগ্রাসন এড়িয়ে সেই ১৯৫৯ সালে দলবল নিয়ে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন ১৪তম দলাই লামা। তারপর থেকে ধর্মশালায় থাকেন তিনি।

কিন্তু বর্তমান দলাই লামাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে চীন। কমিউনিস্ট দেশটির অভিযোগ, তিব্বতকে চিন থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। এনিয়ে বেইজিং ও নয়াদিল্লীর মধ্যে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। ভারতে কমপক্ষে এক লক্ষ তিব্বতি রয়েছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও রয়েছেন কিছু মানুষ। এই আইনে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে চিনা দূতাবাস বাড়াতে গেলে সবার আগে তিব্বতের রাজধানী লাসায় মার্কিন দূতাবাস তৈরির ছাড়পত্র দিতে হবে চীনকে। দলাই লামা বাছার ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের মতামত গুরুত্বহীন। তিব্বতের মানুষের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধাবী তিব্বতি ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পড়তে যেতে পারবেন। আমেরিকার এই পদক্ষেপে রেগে লাল চীন।তিব্বত, হংকং ও তাইওয়ান নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে বরাবর ক্ষিপ্ত ছিল আমেরিকা। তিব্বতের বাসিন্দাদের উপর চীনের সরকার অকথ্য অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও। এদিকে গত নভেম্বর মাসে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউসে ঘুরে এসেছেন তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান লোবসাঙ্গ সানগে। দীর্ঘ ৬০ বছর পরে হোয়াইট হাউসে তিব্বতের কোনও নেতার সফর জল্পনা উস্কে দিয়েছে। এই ঘটনার ফলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ চীন।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin