দুই বছরে মাত্র ৭৫০ ডলার করে ট্যাক্স দিয়েছেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ৭৫০ ডলার করে ট্যাক্স দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছরই তার এই ট্যাক্স প্রতারণা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, এটা ভুয়া সংবাদ। তিনি ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু করেননি। এবার সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ট্যাক্স রিটার্নসহ ট্রাম্পের সব আর্থিক নথি প্রকাশের আদেশ দিয়েছে। এর ফলে তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত করতে আর বাধা থাকল না।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ২০১৭ সালে ট্রাম্পের আয় ছিল ১ কোটি ২৮ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ ডলার। কিন্তু তার ট্যাক্স হয়েছিল ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৭ ডলার। কিন্তু তিনি পরিশোধ করেছিলেন মাত্র ৭৫০ ডলার। বাকি অর্থ তিনি পরিশোধই করেননি। ২০০০-২০১৫ সালের মধ্যে ১০ বছরে ট্রাম্প কোনো ট্যাক্সই দেননি। তিনি ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে এসব ট্যাক্স ফাঁকি দেন। এরপর ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশের কথা বললেও আর করেননি।

এর আগে অন্য প্রেসিডেন্টরা আয়রক নথি প্রকাশ করলেও ট্রাম্প সেটি করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। ২০১৯ সালের আগস্টে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি সাইরাস ভেন্স ট্রাম্পের আইনি ফার্ম মাজারসকে ২০১১-২০১৮ সালে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে তলব করেছিলেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়া আটকাতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। শেষ পর্যন্ত আদালতের কাছে হেরে গেলেন ট্রাম্প। সোমবার সেসব নথি প্রকাশের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া রিপাবলিকান ট্রাম্পের দীর্ঘ দিনের আইনি ফার্ম মাজারস ইউএসএ আদালতের আদেশ মেনে সাইরাস ভেন্সের কাছে নথি জমা দেবে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর ভেন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কাজ চলছে। ভেন্স এর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রাম্পের আইনজীবীর কাছে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের আবেদন সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যাখ্যান করলে দ্রুত তারা এ বিষয়ে কাজ করবেন। সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীল বিচারক ছয় জন এবং তিন জন উদারপন্থি। এর মধ্যে তিন জনকেই নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু তারপরও রায় তার বিপক্ষে গেছে। এর আগে ট্রাম্প আবেদন করেছিলেন, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদন নাকচ করেছিল।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin