• Homepage
  • >
  • নিউইয়র্ক
  • >
  • প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের গ্রেফতারে
    নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে

প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের গ্রেফতারে
নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে সেন্টার ফর এনআরবি’র ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০২২-এর আওতায় ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা : প্রবাসীদের বিনিয়োগ এবং রেমিটেন্স প্রবাহে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, লন্ডনের ৭ বিনিয়োগকারি বাংলাদেশে গিয়ে যে ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, তা প্রবাসে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ও প্রবাসীদের বিনিয়োগে প্রশ্নের উদ্রেক করছে। এ ঘটনায় প্রবাসীরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন এবং এর ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। রেমিট্যান্স প্রবাহেও সুন্দর গতি দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতির অবসানে সকলকে সততা ও নিষ্ঠাবান হতে এবং প্রবাসীদের প্রতি সর্বোচ্চ সহযোগিতামূলক আচরণের আহŸান জানান বক্তারা।
গত ১২ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের উডহ্যাভেনের জয়া হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানির সিইও দেবশ্রী মিত্র, মানি ট্রান্সফারস কোম্পানি ‘সানম্যান এক্সপ্রেস’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাসুদ রানা তপন, ম্যাককুয়্যার ক্যাপিটাল ইনকের কর্মকর্তা আদিব মালেক চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেসের সিইও মো. আব্দুল মালেক, সিপিএ আনোয়ার হোসেন, সিলেটে প্রবাসী বিনিয়োগকারী ফকু চৌধুরী, বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট সুমন সাঈদ, কাতারে প্রবাসী বিনিয়োগকারী নূরল মোস্তফা, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী এবং শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব।
অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ, লেখক-সাংবাদিক ও গীতিকবি ইশতিয়াক রুপু, ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান, সাংবাদিক রিমন ইসলাম, কাজী আতিকুর রহমান, শাহজাহান নজরুল, বদরুদ্দোজা সাগর, এএসএম মাইনউদ্দিন ও বিএ এক্সপ্রেস এর সিইও মো. আতাউর রহমান।
কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, সকলেই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের চিন্তা করছেন-এতে কোনো সন্দেহ নেই। রেমিটেন্সের প্রবাহ ধরে রাখতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান উচ্চারিত হলো তা আমি সময়ে সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমীপে উপস্থাপন করে আসছি। এ ধরনের আলোচনার সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন, হুন্ডি প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরী করতে সকলকে সরব থাকতে হবে। হুন্ডির মাধ্যমে সাময়িকভাবে লাভবান হওয়া গেলেও সেই অর্থ জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখে না। এমনকি ভবিষ্যতে সেই অর্থে বাংলাদেশে কোন কিছু করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সেটি কালো টাকা হিসেবে চিহ্নিত হবে।
সেকিল চৌধুরী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ছাড়াও করোনায় গোটাবিশ্বের অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা। বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। তবুও ডলারের মূল্যমানের যে ব্যবধান তা দূর করা সম্ভব হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের গতি টেনে ধরা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ শাখা স্থাপন, প্রেরিত রেমিটেন্সের ওপর বোনাসের পরিমাণ ২.৫% থেকে বাড়িয়ে ৫% করা, বিনিয়োগ-সম্পর্কিত রেমিটেন্সের বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা করা হলে বৈধপথে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়বে।
সোনালী এক্সচেঞ্জ-এর সিইও দেবশ্রী মিত্র উল্লেখ করেন, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে পরবর্তীতে কেউ যদি সেই অর্থে শিল্প-কারখানা গড়তে চান, তাহলে সেটি বুমেরাং হবে। কারণ, বৈধপথে অর্থ বিদেশ থেকে ডকুমেন্ট ব্যতিত সরকারের অনুমোদন মিলবে না কখনোই। বৈধপথে টাকা পাঠালেই পরবর্তীতে সে টাকায় স্বপ্নের ভবিষ্যত রচনা করা সম্ভব হবে।
স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস-এর সিইও মো. আব্দুল মালেক উল্লেখ করেন, গত কয়েক বছরে সেন্টার ফর এনআরবি’র বেশ কয়েকটি সেমিনারে অংশ নিয়েছি। অনেকে অনেক কথা বলেছি। প্রবাসীদের সামগ্রিক কল্যাণের অভিপ্রায়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালাও তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু এসব বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
সেমিনারের শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন ব্যবসায়ী সরদার সিরাজুল ইসলাম।
সেমিনারে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন সানওয়ার চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ব্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরী।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin