মিয়ানমারে আহত নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

ছবি: সংগৃহীত

সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের চতুর্থ দিনে পুলিশের গুলিতে আহত নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে বিবিসি। মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজপথে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ওই নারী।

ওইদিন দেশটিতে চতুর্থ দিনের মতো চলে জনগণের বিক্ষোভ। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান, রাবার বুলেট এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় এক নারী মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বলে জানায় মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমগুলো। বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ আরও বেশি শক্তি প্রয়োগের পর থেকেই বেশ কিছু গুরুতর ঘটনার কথা জানা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হলেও কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেপিতো হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে এক নারী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে বর্তমানে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

ওই চিকিৎসক আরও জানান, আহত নারীর মাথার আঘাতের সঙ্গে গোলাবারুদের আঘাতের মিল রয়েছে। বিক্ষোভে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ার কথা বললেও চিকিৎসকরা বলছেন, একটি গুলি ওই নারীর কানের পেছন দিক থেকে মাথায় আঘাত করেছে। এতে তার মস্তিষ্কের কিছু অংশে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিক্ষোভে পুলিশের পদক্ষেপের পর বুকে আঘাত নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা আরেকজনের ক্ষতের সঙ্গে ওই নারীর ক্ষতের মিল রয়েছে বলেও জানা গেছে।

৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির(এনএলডি) একাধিক কার্যালয় গুড়িয়ে দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কার্যালয়গুলোতে তল্লাশি চালানোর পর সেগুলো গুড়িয়ে দেয়। এর আগের দিন অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দেয়, পাঁচ জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না এবং সমাবেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এসব উপেক্ষা করে বুধবার পঞ্চম দিনের মতো চলছে আন্দোলন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin