• Homepage
  • >
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • >
  • ম্যাক্রোঁ-বাইডেনের ফোনালাপ, যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

ম্যাক্রোঁ-বাইডেনের ফোনালাপ, যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের কাছ থেকে এক ডজন সাবমেরিন কেনা নিয়ে পাঁচ বছর আগে করা একটি চুক্তিকে হঠাত্ পাশ কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেভাবে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি করেছে, তাতে পশ্চিমা বিশ্বের মৈত্রী, ঐক্য এবং আস্থা সমূলে নাড়া খেয়েছে। ক্ষুব্ধ এবং অপমানিত ফ্রান্স ক্যানবেরা এবং ওয়াশিংটন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠিয়েছে, ব্রিটেনের সঙ্গেও সম্প্রতি একটি প্রতিরক্ষা সংলাপ বাতিল করেছে।

এসবের মধ্যেই গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁনের। ফোনালাপের পর ফ্রান্স তাদের রাষ্ট্রদূতকে ওয়াশিংটনে ফেরত পাঠাতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ফ্রান্সের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার বদলে অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রযুক্তি নিতে যে চুক্তি করেছে সে বিষয়ে প্যারিসের সঙ্গে আলোচনা না করা ওয়াশিংটনের ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে হোয়াইট হাউসও।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আধঘণ্টার ফোনালাপে দুই প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে আস্থা ফেরাতে বিশদ আলোচনা শুরু এবং অক্টোবরের শেষদিকে ইউরোপে মুখোমুখি বৈঠক করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

সপ্তাহখানেক আগে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া অকাস গঠনের ঘোষণা দেয়। এই চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রযুক্তি সরবরাহ করার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের।যার কারণে অস্ট্রেলিয়া ৫ বছর আগে ফ্রান্সের কাছ থেকে ১২টি সাবমেরিন নিতে ৪ হাজার কোটি ডলারের যে চুক্তি করেছিল, তা বাতিল করে দেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফ্রান্স। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তাদের ‘পিঠে ছুরি মেরেছে’ বলে মন্তব্য করেন ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-যুব লে দ্রিয়ান।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin