লন্ডনের রাস্তায় রাত কাটালেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়ার পর বুধবার তিনি ভবনের বাইরে রাস্তায় তার গাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। জ জোয়া মিন বলেছেন, দূতাবাসে কর্মরত লোকজনকে ভবন ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশ দেন মিয়ানমারের মিলিটারি অ্যাটাশে এবং দেশটির রাষ্ট্রদূতের পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব দূতাবাস থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তবে রাষ্ট্রদূত পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তকে লন্ডন মেনে নিয়েছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে জ জোয়া মিন সেনা অভ্যুত্থানের সমালোচনা করে অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেসময় তিনি বলেন, মিয়ানমার বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে এখনো পর্যন্ত ৫০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির

জ জোয়া মিন লন্ডনের এই ঘটনাকে অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, সামরিক অ্যাটাশে তার দূতাবাস দখল করে রেখেছে। লন্ডনের কেন্দ্রে এধরনের অভ্যুত্থান গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে জ জোয়া মিন ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সামরিক জান্তার নিয়োগ দেওয়া নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য।

একই সঙ্গে তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতেও তিনি আহ্বান জানান। মুখপাত্র আরো বলেছেন, সামরিক জেনারেলদের জন্য কাজ না করলে দূতাবাসের লোকজনকে কঠোর শাস্তি দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের লোকজনকে বের করে দেওয়ার পর তারা যাতে আবার ভবনের ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য পুলিশ ডেকে পাঠানো হয়। এরপর থেকে ভবনের গেটে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

রাষ্ট্রদূতকে বের করে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মিয়ানমারের লোকজন লন্ডনের কেন্দ্রে দূতাবাস ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ জানাতে শুরু করে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে রাষ্ট্রদূত যে দেশে কাজ করছিলেন সেদেশকে জানানোর পর ঐ রাষ্ট্রদূতের চাকরি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে তারা এসংক্রান্ত নোটিস পেয়েছে এবং মিয়ানমার সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে। উপ-রাষ্ট্রদূত চিট উইনকে লন্ডনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স দূতাবাসের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin