২০০ বছরে এমন হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে

হামলার সময় ক্যাপিটল ভবনের মধ্যে আটকে থাকা কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত
হামলার সময় ক্যাপিটল ভবনের মধ্যে আটকে থাকা কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পার্লামেন্ট ভবনে হামলার ঘটনা দেশটির কয়েকশ বছরের মধ্যে নজিরবিহীন ঘটনা। দেশটিতে দু’শ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এমন ঘটনা দেখেনি বিশ্ববাসী। ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় এখন পর্যন্ত চারজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইউএস ক্যাপিটল হিস্টোরিকাল সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, ১৮১২ সালে যুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন এমন হামলার সাক্ষী হলো। ১৮১৪ সালে ওয়াশিংটনে অভিযান পরিচালনার সময় ভাইস অ্যাডমিরাল স্যার আলেক্সান্ডার ককবার্ন ও মেজর জেনারেল রবার্ট রোসের নেতৃত্বে নির্মাণাধীন ক্যাপিটল ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ব্রিটিশ বাহিনী। তবে প্রবল বর্ষণের কারণে সে যাত্রায় ওই ভবনটি বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যায়।

ইউএস ক্যাপিটল হিস্টোরিকাল সোসাইটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউএস ক্যাপিটল ভবন যুক্তরাষ্ট্রের শুধুমাত্র একটি অবকাঠামো নয়। এটি তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। এটি আমেরিকার গণতন্ত্র এবং আমাদের জীবন-যাপনের মূর্ত প্রতীক।’

গতকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য দেশটির আইন প্রণেতারা যখন অধিবেশনে বসেছিলেন এসময় ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে।

এসময় বিক্ষোভকারীরা ক্যাপিটল ভবনের দরজা জানালায় ভাংচুর চালায়। কয়েক ঘণ্টা ধরে একপ্রকার ক্যাপিটল দখল করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ ক্যাপিটল ভবনে জারি করে লকডাউন। তবে শেষমেশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ওয়াশিংটনের পুলিশ প্রধান রবার্ট কন্টি বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন নারী আছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাকে গুলি করলে তিনি মারা যান। বাকি ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

হোয়াইট হাউজ এবং পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে এবং এর আশেপাশের রাজ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই হাজার ৭০০ এর বেশি নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin