• Homepage
  • >
  • রাজনীতি
  • >
  • ইসি গঠনে আইনের উদ্যোগ ‘যেই লাউ সেই কদু’: বিএনপি

ইসি গঠনে আইনের উদ্যোগ ‘যেই লাউ সেই কদু’: বিএনপি

নজরুল ইসলাম খান। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন করার উদ্যোগকে ‘যেই লাউ সেই কদু, বরং পঁচা কদু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ইসি নিয়োগে মন্ত্রিসভায় যে আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে, তাতে ‘পর্বতের মূষিক প্রসব’ বা একটি ‘পঁচা কদু’ হতে যাচ্ছে। অনুগত ও অপদার্থ ইসি গঠনের চলমান প্রক্রিয়াকে দলীয় স্বার্থে আইনি রূপ দেওয়ার সরকারি অপপ্রয়াসের ফলাফল হবে ‘যেই লাউ, সেই কদু’। এবার সম্ভবত হতে যাচ্ছে একটি পঁচা কদু। 

আরও বলা হয়, ইসি এতদিন যা প্রশাসনিক কায়দায় হতো,এখন তা আইনিভাবে হবে। এই আইনে কোনো নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ,আইনজ্ঞ থাকতে পারবেন না। দুনিয়ার কোথাও এ নিয়ম নেই। সারাজীবন সরকারি আদেশ মেনে চলা যাদের অভ্যাস, সেই কর্মকর্তাদের নিয়ে এই কমিশন হবে। এ জন্যই এটি ‘যেই লাউ সেই কদু, বরং পচা কদু’। এই সরকার ও তাদের গঠিত কোনো কমিশনের অধীন বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। যেভাবেই ইসি গঠন হোক না কেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এ কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। 

সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, পঁচা কদু এজন্য বলছি যে, খসড়া আইনে আরেক প্রস্তাব করা হয়েছে-সরকারি চাকরির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ এর সদস্য হতে পারবেন না। অর্থাৎ সিভিল সোসাইটির কেউ অথবা কোনো শিক্ষাবিদ, কোনো আইনজ্ঞ তারা কেউ সদস্য হতে পারবেন না। দুনিয়ার কোথায় এরকম বিধি-নিষেধ আছে? এই যে সারা জীবন সরকার আদেশ মেনে চলার যাদের অভ্যাস, সেই সরকারি কর্মকর্তা বা যাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার তাদেরকেই দিয়ে শুধু নির্বাচন কমিশন হবে, এরকম একটা আইন করা-এটা তো সেই কদু … আমরা সেজন্য বলেছি যে, সম্ভবত পচা কদু হতে যাচ্ছে।

খসড়া আইনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিনাভোটের অনির্বাচিত একটি সরকারের নিকট থেকে জনগণ এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে না। একটি নিরপেক্ষ,স্বাধীন যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের নৈতিক যোগ্যতা ও সামর্থ্য আছে শুধু একটি নির্বাচিত সরকারের।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin