যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস ৪ জুলাই

বিয়ানীবাজার সমিতির সাধারণ সভায় নেতৃবৃন্দ।

জার্নাল রিপোর্ট : আগামী ৪ জুলাই মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছর চোখ ধাঁধানো আতশবাজি আর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন আমেরিকানরা। ব্যয় করেন শত শত কোটি ডলার।
২৪৭ বছর আগে ১৭৭৬ সালের ২ জুলাই ইংল্যান্ডের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে পৃথক হওয়ার জন্য ভোট দেন আমেরিকার দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস। এর দুইদিন পর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু পৃথক হতে ব্রিটেনের সঙ্গে চূড়ান্ত স্বাক্ষর ২ আগস্টে অনুষ্ঠিত হলেও প্রত্যেক বছর চার জুলাই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই দিনটির জন্য জীবন দেন ২৫ হাজার বিপ্লবী আমেরিকান এবং ২৭ হাজার ব্রিটিশ ও জার্মান সেনা।
স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৩টি উপনিবেশ একসঙ্গে ইংল্যান্ডের রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে। ভার্জিনিয়া উপনিবেশের জর্জ ওয়াশিংটন ছিলেন প্রধান সেনাপতি। এরই মধ্যে শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে উপনিবেশগুলোর বিজয়ের প্রাক্কালে ১৭৭৬ সালের ২ জুলাই দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পর পাঁচজনের একটি কমিটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচনা করে। টমাস জেফারসন, জন অ্যাডামস, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ছিলেন এ কমিটির অন্যতম সদস্য। টমাস জেফারসন ছিলেন মূল লেখক।
রচিত ঘোষণাপত্রটি নিয়ে কংগ্রেসে তর্ক-বিতর্ক হয় এবং পরিশেষে ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। ঘোষণাপত্রটি কংগ্রেসের অনুমোদন পায় ৪ জুলাই ১৭৭৬ সালে।
ব্রিটিশদের অরাজকতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য ‘প্রতিটি মানুষই সমান এবং একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি’ এই বাণীকে সামনে রেখে থমাস জেফারসন লিখলেন স্বাধীনতার বাণী।
এদিকে স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতা প্যারেডের প্রস্তুতি চলছে। অগণিত মানুষ এই প্যারেডে অংশ নেন। পোড়ানো হয় আতশবাজি। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উদযাপন করবেন স্বাধীনতা দিবস।স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বিপনীবিতান ও অনলাইনে শুরু হয়েছে বিশেষ সেল। দিনটি সরকারি ছুটির দিন।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin