• Homepage
  • >
  • সব খবর
  • >
  • যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের দামে রেকর্ড, ডেমোক্রেটদের জন্য নতুন মাথাব্যথা

যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের দামে রেকর্ড, ডেমোক্রেটদের জন্য নতুন মাথাব্যথা

Gas prices are advertised at over five dollars a gallon Monday, Feb. 28, 2022, in Los Angeles. (AP Photo/Marcio Jose Sanchez)

জার্নাল রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্যালন জ্বালানি তেলের দাম প্রতি গ্যালন পাঁচ ডলার ছাড়িয়েছে, যা অতীতের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। ১৩ জুন সোমবার প্রতি গ্যালন জ্বালানি তেলের দাম ছিল গড়ে ৫ দশমিক ০১ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের যে রাজ্যে জ্বালানি তেলের দাম সবসময় কম ছিল, সেই জর্জিয়াতে সোমবার দাম ছিল গ্যালন প্রতি ৪ দশমিক ৪৬ ডলার। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের দাম এতটা বাড়লো। যা দেশের মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলবে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ৯২ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেলের চাহিদা ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। জ্বালানি তেলের এই উচ্চমূল্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য নতুন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসছে নভেম্বরে দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এর আগে জ্বালানি তেলের দাম এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বর্তমানে যে সামান্য ব্যবধানে ডেমোক্রেটিক পার্টি এগিয়ে আছে তা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে রাখতে নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ‘স্ট্রাটেজিক রিজার্ভস’ থেকে রেকর্ড পরিমাণ জ্বালানি তেল বাজারে ছেড়েছেন। গ্রীষ্মকালীন উৎপাদনের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম-বিধি রয়েছে সেগুলোতে বিভিন্ন ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বড় আকারে জ্বালানি উৎপাদনকারী ওপেকভুক্ত দেশগুলোকে উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধও করেছেন তিনি।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং বিশ্বজুড়েই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যদিও ভারত সেই তালিকায় নেই, বরং নরেন্দ্র মোদী সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে। জ্বালানি তলের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে এক নয়, বরং একাধিক কারণ কাজ করছে। রাশিয়ার ইউক্রেইনে আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমাবিশ্ব রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অথচ, রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশের অন্যতম। বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার তেলের যোগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ফলে তেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে যোগ হয় তেল পরিশোধনের সক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।

যদি লম্বা সময় ধরে জ্বালানি তেলের দাম গ্যালন প্রতি পাঁচ ডলারের উপরে থাকে, তবে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদরা।জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রিড লানসন বলেন, ‘দাম যখন পাঁচ ডলার বা তার বেশি হয়, তখন আমরা চাহিদা খুব ভারি মাত্রায় হ্রাস পেতে দেখি।যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের দাম এখনো ২০০৮ সালের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ কম আছে। ২০০৮ সালের জুন মাসে জ্বালানির দাম ৫ দশমিক ৪১ ডলারে উঠেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখছে। যদিও এখনো দেশটিতে ভোক্তাদের ব্যয় স্থিতিশীল রয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ের ত্রাণ কর্মসূচি এবং আঁটসাঁট চাকরির বাজারের কারণে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের কর্মীদের একটি শক্তিশালী মজুরি লাভের কারণে ভোক্তারা এখনো ব্যয় স্থিতিশীল রাখতে পারছেন।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin