সিনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন শুরু হচ্ছে আজ

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে অভিশংসন বিচার শুরু হচ্ছে আজ। অভিশংসন প্রক্রিয়ায় আক্রমণাত্মক ভূমিকায় থাকবেন ডেমোক্র্যাটরা। দ্রুত অভিশংসন প্রক্রিয়া শেষ করারও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে যাতে ভবিষ্যতে এই কাজ করতে কেউ সাহস না পান। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহে উসকানি দেওয়ারও অভিযোগ আনা হচ্ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছে। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। ইমপিচমেন্ট ম্যানেজাররা জানিয়েছেন, ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন ভিডিওকে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজিয়েছেন তারা। ছয়জন বিশেষজ্ঞকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে ইউক্রেনের ঘটনায় অভিশংসনের অভিযোগ নিয়ে সিনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পাঁচ মাস ধরে শুনানি চলছিল। কিন্তু সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না ইমপিচমেন্ট কমিটি।

কমিটির অন্যতম আইনজীবী ও মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জেমি রাস্কিন এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্প যা করেছেন, তা ভয়ংকর। তাই আমি মনে করি, প্রত্যেক মার্কিনীর জানা উচিত সেখানে আসলে কী ঘটেছিল। কেন ট্রাম্পকে এই অভিযোগের মুখে পড়তে হলো এবং কেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা জরুরি। কেন তাকে ভবিষ্যতে আর সরকারের কোনো পদে বসানো ঠিক নয়’।

রাস্কিন আরো বলেন, ‘আমরা চাই, ভবিষ্যতে ট্রাম্প যেন আমেরিকার গণতন্ত্রে কোনো আঘাত হানতে না পারেন। যাতে ভবিষ্যতে এই পরিণামের কথা ভেবে কেউই আমেরিকার সংবিধান বা গণতন্ত্রের উপর আঘাত করার কথা না ভাবেন’। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহে উসকানি দেওয়ারও অভিযোগ আনা হবে বলে রাস্কিন জানিয়েছেন।

এদিকে জাতিসংঘ মানবাধিকর পরিষদে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। তিন বছর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব এবং সংস্কারে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে ট্রাম্প প্রশাসন এই পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে রেখেছিল।

  • facebook
  • googleplus
  • twitter
  • linkedin
  • linkedin
  • linkedin